বগুড়ার শেরপুরে ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড নিয়ে শিক্ষকদের মারামারি, বিদ্যালয়ে পুলিশ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো জ্ঞান ও শৃঙ্খলার কেন্দ্র। কিন্তু বগুড়ার শেরপুরে একটি বিদ্যালয়ে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে দুই শিক্ষকের মধ্যে মারামারির ঘটনায় সেই শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়েছে। ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি এক সময় এমন উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে যে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে বিদ্যালয়ে পুলিশ ডাকতে হয়।

ঘটনার বিবরণ:

রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর আনুমানিক একটার দিকে বগুড়ার শেরপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে এই অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ সাহেব আলী এবং ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর মাহমুদুল হাসানের মধ্যে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।

সংঘর্ষের কারণ ও পরিণতি: অভিযোগ অনুসারে, বিদ্যালয়ের ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড দিতে রাজি না হওয়ায় সহকারী শিক্ষক সাহেব আলী প্রথমে ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর মাহমুদুল হাসানকে মারধর করেন। ঘটনার সূত্রপাত এই পাসওয়ার্ড নিয়েই।

মাহমুদুল হাসানের ওপর হামলার পর পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। অভিযোগ ওঠে যে, মাহমুদুল হাসানের পক্ষ নিয়ে কয়েকজন 'বহিরাগত' বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে সহকারী শিক্ষক সাহেব আলীকে পিটিয়ে আহত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে সাহেব আলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

শিক্ষকদের বক্তব্য: এ বিষয়ে ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর মাহমুদুল হাসান জানান, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ অনুযায়ী তিনিই বিদ্যালয়ের ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড বসিয়ে থাকেন। প্রধান শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া তিনি পাসওয়ার্ড দিতে রাজি না হওয়ায় সহকারী শিক্ষক সাহেব আলী তাঁর ওপর চড়াও হন এবং মারধর করেন। বহিরাগত আসার যে অভিযোগ উঠেছে, তা সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, তাঁকে মারধর করার খবর শুনে তাঁর এক ভাই বিদ্যালয়ে এসেছিলেন।

কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ: বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ শেখ জানান, ঘটনার পর বিদ্যালয় চত্বরে পুলিশ আসার পরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে অবহিত করেছেন।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর পুলিশ ঘটনাস্থল ছেড়ে থানায় ফিরে গেছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

পরীক্ষার ভরা মৌসুমে কমিটি নির্বাচনের নির্দেশ: শিক্ষামহলে তীব্র উদ্বেগ

বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষার মাঝে গভর্নিং বডি নির্বাচন সম্পন্ন করার নির্দেশে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের চাপ বৃদ্ধি; বিঘ্নিত হতে পারে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়ায় শিক্ষামহলে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত শিক্ষাবর্ষের শুরুতে, অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যখন পাঠদানের চাপ কম থাকে। কিন্তু এবার গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার সময়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন।

 

পরীক্ষার সময়সূচির সঙ্গে সংঘাত

মন্ত্রণালয়ের শিক্ষাপঞ্জি অনুসারে, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসটি পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল। ২০ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা চলবে। অন্যদিকে, দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা (টেস্ট পরীক্ষা) অনুষ্ঠিত হবে ২৯ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

শিক্ষার্থীরা যখন চূড়ান্ত পড়াশোনা ও প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক সেই সময়ে নির্বাচনের আয়োজন করা হলে তা সরাসরি শিক্ষাব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট সকলে।

আরো পড়ুন

  1. পরের বাজেটে বাড়তে পারে শিক্ষকদের বরাদ্দ: শিক্ষা উপদেষ্টা 
  2. মাউশির ডিজি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আজাদ খানের পদত্যাগ কেন ? 

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ

শিক্ষকদের মতে, এই সময়ে তাঁরা প্রশ্নপত্র তৈরি, উত্তরপত্র মূল্যায়ন এবং পরীক্ষা পরিচালনার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকেন। এর সঙ্গে ভোটের প্রস্তুতি, বুথ স্থাপন ও নির্বাচন পরিচালনার বাড়তি চাপ শিক্ষকদের ওপর এসে পড়বে। অন্যদিকে, নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা ও পরিবেশগত কারণে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বিঘ্নিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। অভিভাবকরাও সন্তানের পরীক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকার সময় নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পড়লে তার প্রভাব সন্তানের মানসিক চাপের ওপর পড়তে পারে।

 

তাড়াহুড়োর কারণ নিয়ে প্রশ্ন

দীর্ঘদিন ধরে দেশের বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিচালনা কমিটির নির্বাচন বকেয়া থাকলেও, পরীক্ষার ঠিক আগ মুহূর্তে এই নির্দেশ কার্যকরের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকরা। অনেকে ধারণা করছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই তড়িঘড়ি করে এই নির্বাচন এগিয়ে আনা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু বলেন, "স্কুল পরিচালনায় কমিটি জরুরি, তবে তা যেন শিক্ষার ক্ষতি করে না হয়। পরীক্ষার এই সংবেদনশীল সময়ে নির্বাচন আয়োজনের পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার।"

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, একই সময়ে নির্বাচন ও পরীক্ষা নিশ্চিতভাবেই শিক্ষার্থীদের অসুবিধায় ফেলবে। মন্ত্রণালয়ের উচিত— হয় নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা, নতুবা পরীক্ষার রুটিনে পুনর্বিবেচনা করা। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের কোনো সুস্পষ্ট মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

শিক্ষাবিদ ও সাধারণ অভিভাবকরা এখন জানতে চাইছেন—শিক্ষাব্যবস্থাকে ঝুঁকিতে ফেলে এই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে কিনা।

মন্তব্য করুন

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার কার্যক্রম গতিশীল করার সাত দফা নির্দেশনা

 

 

ভূমিকা: শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেবা, নেতৃত্ব ও সুনাগরিকত্বের গুণাবলী বিকাশে দেশের সকল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার কার্যক্রম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কার্যক্রমকে আরও কার্যকর ও গতিশীল করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সম্প্রতি সাত দফা নির্দেশনা জারি করেছে। গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জারি করা এই অফিস আদেশে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের এই নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মাউশির সাত দফা নির্দেশনা:

গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার কার্যক্রমের মানোন্নয়ন ও সঠিক পরিচালনা নিশ্চিত করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য নিম্নোক্ত সাতটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে:

১. ইউনিট গঠন ও নিয়মিত কার্যক্রম: প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার ইউনিট গঠন নিশ্চিত করতে হবে। ইউনিটগুলোকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ, সেবামূলক কার্যক্রম এবং সভার আয়োজন করতে হবে।

২. বার্ষিক রিপোর্ট দাখিল: গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার কার্যক্রমের বার্ষিক রিপোর্ট প্রতি বছর ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক অফিসে এবং ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে মাউশিতে আবশ্যিকভাবে প্রেরণ করতে হবে।

৩. ত্রৈমাসিক রিপোর্ট দাখিল প্রক্রিয়া: প্রতি ত্রৈমাসিকের রিপোর্ট পরবর্তী মাসের ৫ তারিখের মধ্যে আঞ্চলিক অফিসে জমা দিতে হবে। আঞ্চলিক অফিসগুলো আবার এসব রিপোর্ট ১০ অক্টোবরের মধ্যে অধিদপ্তরের নির্ধারিত ই-মেইল (girlguides2025@gmail.com) ঠিকানায় পাঠাবে।

৪. প্রতিষ্ঠান প্রধানের দায়িত্ব: প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নিয়মিতভাবে ইউনিট গঠন, প্রশিক্ষণ ও সেবামূলক কার্যক্রমের সভা আয়োজন নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক রিপোর্টগুলো নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জমা দেওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।

৫. তহবিলের সঠিক ব্যবহার ও পরিশোধ: গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার, গার্ল ইন স্কাউট এর তহবিলে আদায়কৃত ফি প্রতিষ্ঠান প্রধান ও গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার গাইডারের যৌথ স্বাক্ষরে উত্তোলন করতে হবে এবং এই অর্থ কেবল গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার কার্যক্রমেই ব্যয় করা যাবে। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত ফি সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও জেলা গার্ল গাইডস ও রেঞ্জারে নিয়মিত পরিশোধ করা আবশ্যক।

৬. কার্যক্রম পরিকল্পনা ও মনিটরিং: গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার গাইডারকে এক বছরের জন্য কার্যক্রমের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করে গ্রুপ কমিটির অনুমোদন নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান এই কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা নিয়মিত তদারকি করবেন।

৭. গাইডার নিয়োগ ও স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে সম্পৃক্ততা: যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার গাইডার নেই, প্রতিষ্ঠান প্রধান অতি দ্রুত সংশ্লিষ্ট জেলা বা আঞ্চলিক কার্যালয়ে যোগাযোগ করে গাইডার নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এছাড়াও, শিক্ষাঙ্গনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার কাজে গার্ল গাইডস ও রেঞ্জার সদস্যদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সম্পৃক্ত করতে হবে।

মন্তব্য করুন

চাকরি জাতীয়করণ চায় জমিয়াতুল মোদার্রেছীন

মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন বেতন-ভাতার কোনো শতাংশ বৃদ্ধি নয়, বরং কর্মরত সকল মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীর চাকরি জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে।

সংগঠনটির সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ২০১৭ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিক্ষক সমাবেশ করে এই দাবি জানিয়েছিল এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজ করবে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, "আমরা কোনো শতাংশের হিসেবে বেতন-ভাতা চাই না, আমরা চাই জাতীয়করণ করে শতভাগ সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে—তবে সেটি রাস্তায় দাঙ্গাবাজী করে নয়, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে।"

স্ট্যান্টবাজির আন্দোলন নয়, আলোচনার মাধ্যমে দাবি আদায়:

জমিয়াত সভাপতি আন্দোলনরত শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সমর্থন জানালেও বলেন, বর্তমানে যারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা কেবল "স্ট্যান্টবাজি" করছেন। তিনি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান সরকার চাইলেও এখন কোনো বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, "ড. ইউনূসূ সাহেব যে পরিস্থিরি উপর, যে অর্থনৈতিক অবস্থায় দায়িত্ব নিয়েছেন সেখান থেকে তিনি চাইলেই কি দিতে পারবেন, কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এটা আমাদের বুঝতে হবে। যারা এটা বুঝেও শিক্ষকদের রাস্তায় রেখে পরিবেশ নষ্ট করছেন তারা শুধু স্ট্যান্টবাজি ছাড়া আর কিছুই করছেন না।"

ভবিষ্যৎ সরকারের ওপর আস্থা:

এ এম এম বাহাউদ্দীন জানান, আগামীতে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবেন তারা ইতোমধ্যে চাকরি জাতীয়করণ করার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, তখন শিক্ষকদের বেতন-ভাতার জন্য দাবিও করতে হবে না, শিক্ষক-কর্মচারীরা যা চান তার চেয়েও বেশি পাবেন।

তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, "আগামী দিনে দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান, ইনশাআল্লাহ। কেউ কোনো কিছু পরিবর্তন করতে পারবে না। তিনি ক্ষমতায় আসলে ২ হাজার নয়, ৫ হাজার টাকা করে চাইলেও শিক্ষকরা পাবেন।"

ক্লাস বন্ধ রেখে আন্দোলনের সমালোচনা:

রাজধানীর মহাখালীস্থ গাউসূল আজম কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের উদ্যোগে আয়োজিত 'মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষিকাদের করণীয়' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি সাম্প্রতিক এইচএসসি ফলাফলে বিপর্যয়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য "পিক টাইম"। সামনে নির্বাচন থাকায় এমনিতেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এই সময়ে দাবি-দাওয়ার নাম করে ক্লাস বন্ধ রেখে আন্দোলন করা হচ্ছে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে সবকিছু বন্ধ রাখার অপচেষ্টা চলছে। রাস্তায় দাঙ্গাবাজী করে দাবি আদায়ের নামে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

নারী শিক্ষকদের গুরুত্ব ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবি:

ইনকিলাব সম্পাদক সমাজ গঠনে নারীদের ভূমিকা ও গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, আলেম সমাজ সব সময় নারী শিক্ষা ও নারীর অগ্রগতির জন্য কাজ করেছে, বাধা হচ্ছে নারী শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি। তিনি নারী শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা আরো বাড়ানোর দাবি জানান। দেশের বাইরে প্রশিক্ষণের জন্য নারীদের, বিশেষ করে চীনে পাঠানোর ব্যবস্থার কথা বলেন।

তিনি দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের উন্নয়নে মা ও নারী শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশেও প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানে অগ্রগতি আনতে হলে নারী শিক্ষক ও শিক্ষিত মায়েদের প্রয়োজন। এজন্য শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া বেশি আসা দরকার নারী শিক্ষকদের কাছ থেকে, কারণ তাদের কষ্ট বেশি।

জামায়াতের আন্দোলনের সমালোচনা:

জমিয়াত সভাপতি মিথ্যাচারের সমালোচনা করে বলেন, এক সময় সাঈদী ও নিজামী সাহেবরা শহীদ মিনারকে 'কুফরি-শিরক' বলতেন। এখন সেই জামায়াতের নেতৃত্বে শহীদ মিনারে গিয়ে শিক্ষকদের নিয়ে আন্দোলন করছে।

জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিবের বক্তব্য: অনুষ্ঠানে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজী বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসছেন এবং আন্দোলন করছেন। তারা চান শিক্ষকরা সরকারি চাকরিজীবীদের মতো শতভাগ সুযোগ-সুবিধা পাক, তবে তারা সব সময় সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দাবি আদায়ের পক্ষে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমান এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক দিলরুবা খান

মন্তব্য করুন

নজিরবিহীন আন্দোলনের মুখে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত; খুশি শিক্ষকরা, ক্লাসে ফেরার ঘোষণা

দীর্ঘ ১০ দিনের লাগাতার আন্দোলনের মুখে অবশেষে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি মেনে নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তিন দফা দাবির মধ্যে অন্যতম, বাড়িভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে 'সমঝোতা' হওয়ায় শিক্ষক নেতারা আপাতত আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে মূল বেতনের ১৫ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের এক বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এরপরই শিক্ষকরা আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলন স্থগিত করে ক্লাসে ফেরার প্রতিশ্রুতি দেন।

আন্দোলনের মুখে নমন সরকার:

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতাসহ মোট তিন দফা দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। তাদের এই নজিরবিহীন আন্দোলনের মুখে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়।

মঙ্গলবার সকালে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে শিক্ষক প্রতিনিধিদের বৈঠকের পরই ১৫ শতাংশ বাড়িভাড়ার সিদ্ধান্তে উভয়পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছায়। এরপর দুপুরে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত সম্মতিপত্র দেওয়া হয়।

১৫ শতাংশ কার্যকর হবে দুই ধাপে:

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের উপসচিব মোসা. শরীফুন্নেসার সই করা সম্মতিপত্রে বাড়িভাড়া কার্যকর হওয়ার সময়সূচি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্মতি অনুযায়ী, বাড়িভাড়া ভাতা দু'টি ধাপে কার্যকর হবে:

  • প্রথম ধাপ: চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের সাড়ে ৭ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) বাড়িভাড়া ভাতা পাবেন।

  • দ্বিতীয় ধাপ: আগামী অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে আরও সাড়ে ৭ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা যুক্ত হবে।

ফলে সবমিলিয়ে তারা মোট ১৫ শতাংশ (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) বাড়িভাড়া ভাতা পাবেন। এই নতুন সম্মতির ফলে আগের (১৬ অক্টোবর) দেওয়া সম্মতিপত্রটি বাতিল বলে গণ্য হবে।

শিক্ষকদের প্রতিক্রিয়া:

সরকারের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করে শিক্ষক নেতারা জানান, আপাতত তারা এই সিদ্ধান্তে খুশি। এজন্য তারা শহীদ মিনারে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেবেন এবং ক্লাসে ফিরে যাবেন।

যদিও শিক্ষক-কর্মচারীরা ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতার দাবিতে অনড় ছিলেন, তবুও টানা আন্দোলনের মুখে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে শিক্ষক নেতারা সার্বিক পরিস্থিতিতে 'বিজয়' হিসেবে দেখছেন।

তবে, আন্দোলনকারী শিক্ষক নেতারা এই বৈঠকেও আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি সরকারকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে বলেছেন। দাবিগুলো হলো: চিকিৎসাভাতা ১৫০০ টাকা করা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।

মন্তব্য করুন

মাধ্যমিক ও কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর

ভেঙে হচ্ছে দুটি পৃথক অধিদপ্তর

মাউশিকে (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর) ভেঙে দুটি পৃথক অধিদপ্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে একটি হবে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং অন্যটি হবে কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর

প্রধান উপদেষ্টা এই বিষয়ে সম্মতি দেওয়ার পর, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখন এই দুটি পৃথক অধিদপ্তর গঠনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। অধিদপ্তর দুটির জন্য পৃথক জনবলকাঠামো (অর্গানোগ্রাম), কার্যতালিকা (অ্যালোকেশন অব বিজনেস) সহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ রোববার (১২ অক্টোবর, ২০২৫, ধরে নেওয়া হলো) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়। এই কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন যুগ্ম সচিবকে।

কমিটিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দুটি পৃথক জনবলকাঠামো প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে।

দীর্ঘদিনের দাবি ও বিতর্ক: মাউশিকে বিভক্ত করার এই উদ্যোগ নতুন নয়। ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতিতেও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে ভাগ করে 'মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর' এবং 'উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা অধিদপ্তর' করার কথা ছিল, যা তখন বাস্তবায়িত হয়নি। তবে, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ঠিকই গঠিত হয়েছিল। সাম্প্রতিক সরকারের আমলেও শিক্ষা সংস্কার প্রস্তাবে মাউশিকে দুই ভাগ করার বিষয়টি উঠে এসেছিল।

তবে, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষা প্রশাসনে পরস্পরবিরোধী অবস্থান রয়েছে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা চান না মাউশিকে ভাগ করা হোক। অন্যদিকে, মাধ্যমিকের শিক্ষকেরা দ্রুত তাঁদের জন্য আলাদা 'মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর' করার পক্ষে।

মন্তব্য করুন

মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নজিরবিহীন আর্থিক দুর্নীতি (পর্ব-০১)

মাত্র ২ মাসে শ্রমিক মজুরি বাবদ ৩ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়, টেন্ডার ছাড়াই 'স্পট কোটেশন'!

ঢাকা: মিরপুরের মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় কলেজে উন্নয়নমূলক কাজের নামে শ্রমিকদের মজুরি বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, মাত্র দুই মাসের মধ্যে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক মজুরি খাতে ,১৮,৮৯,০৫৪/- (তিন কোটি আঠারো লক্ষ ঊননব্বই হাজার চুয়ান্ন) টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এই বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (PPR) সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন করা হয়েছে।

কোটি কোটি টাকার মজুরি, টেন্ডার নেই

তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২0২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত (প্রায় দুই মাস) এডহক কমিটির নির্দেশে কোটি ৬৬ লক্ষ টাকার উন্নয়ন কাজ করা হয়। এই কাজের মধ্যে নির্মাণ মেরামতের জন্য ব্যবহৃত শ্রমিক মজুরি বাবদ ব্যয়িত অর্থের হিসাব নিম্নরূপ:

কাজের বিবরণ

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম

ব্যয়িত টাকার পরিমাণ

রং করা (লেবার)

বান্না এন্টারপ্রাইজ

,৩০,৯২,৯৭৭/-

রাজমিস্ত্রী, কাঠ, সেনিটারী (লেবার)

মেসার্স শিলা এন্টারপ্রাইজ

৬১,২০,৪৬০/-

টাইলস, মোজাইক ইলেকট্রিক (লেবার)

তানভীর এন্টারপ্রাইজ

১৩,৭৭,৪৭৪/-

গ্রীল, অভিভাবক সেড (লেবার)

মেসার্স মোল্লা ওয়েল্ড

১২,৪৮,১৪৩/-

মোট শ্রমিক মজুরি ব্যয়

 

,১৮,৮৯,০৫৪/-

(এছাড়া মালামাল ক্রয় বাবদ আরও ,২৩,৭৪,৪৩৭/- টাকা নগদে ব্যয় করা হয়)

বিধি লঙ্ঘন করে স্পট কোটেশন

তদন্তে ডিআইএ নিশ্চিত করেছে যে, এই বিশাল অঙ্কের মজুরি প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার দরপত্র বা টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি।

  • পিপিআর-এর লঙ্ঘন: পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (PPR) অনুযায়ী, ,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকার অধিক মজুরি প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ প্রদান করতে হয়।
  • ক্ষমতার অপব্যবহার: কিন্তু মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লক্ষ টাকার সীমা অতিক্রম করে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকা ব্যয় করেছে 'স্পট কোটেশনের' মাধ্যমে। এই পদ্ধতিতে কাজ দেওয়ায় প্রতিযোগিতামূলক দর নিশ্চিত হয়নি, যা আর্থিক অনিয়ম অর্থ আত্মসাতের পথ সুগম করেছে বলে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়।

বাতিল কমিটি দিয়ে কাজ করানোর অভিযোগ

তদন্ত প্রতিবেদন আরও জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নতুন এডহক কমিটি গঠনের নির্দেশ (১৮/১১/২০২৪) জারির পরও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আখলাক আহম্মেদ পূর্বের (বাতিলকৃত) এডহক কমিটির মাধ্যমেই কার্যক্রম চালিয়ে যান। বাতিল কমিটির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের এই উন্নয়ন কাজ করানো হয়েছে, যা মন্ত্রণালয়ের আদেশ অমান্য করার শামিল।

রাজস্ব ফাঁকি

উন্নয়ন কাজের জন্য ঠিকাদারদের পরিশোধিত ,১২,১৮,০০০/- টাকার ওপর ধার্যকৃত ভ্যাট আয়কর সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়নি। শ্রমিক মজুরি বাবদ ব্যয়িত বিপুল অঙ্কের অর্থের ওপরও এই রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। সরকারি কোষাগারে ফেরতযোগ্য মোট ৩৮,০২,২৫০/- (আটত্রিশ লক্ষ দুই হাজার দুইশত পঞ্চাশ) টাকা অবিলম্বে জমা দেওয়ার জন্য প্রতিবেদনে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লিখিত এই ঘটনা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনায় চরম বিশৃঙ্খলা দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয়, যেখানে একটি বাতিল কমিটি মাত্র দুই মাসে বিপুল অঙ্কের টাকা টেন্ডার ছাড়াই মজুরি খাতে ব্যয় করে সরকারি বিধিমালাকে পুরোপুরি উপেক্ষা করেছে।

 ( দ্বিতীয় পর্ব আসছে শিগগিরই, কারা কারা এই লুটপাটে জড়িত তাদেরও পরিচয় তুলে ধরা হবে )

 

মন্তব্য করুন
×