২০২৬ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রশ্ন কাঠামো ও নম্বর বিভাজনে পরিবর্তন

শিক্ষা অধিপ্তরের ছবি ও লোগো
শিক্ষা অধিপ্তরের ছবি ও লোগো

২০২৬ সাল থেকে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার বাংলা ২য় পত্র, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের প্রশ্ন কাঠামো ও নম্বর বিভাজনে পরিবর্তন এনেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। আজ রোববার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত জানানো হয়েছে:

১. বাংলা দ্বিতীয় পত্র: বাংলা ২য় পত্রের রচনামূলক অংশের প্রশ্ন কাঠামোতে পরিবর্তন এসেছে। 'অনুবাদ' অংশটি বাদ দেওয়া হয়েছে। অনুবাদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ নম্বর এখন থেকে সংবাদ প্রতিবেদনের জন্য বরাদ্দ করা হবে।

২. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি): আইসিটি বিষয়ের প্রশ্ন কাঠামো থেকে 'সংক্ষিপ্ত-উত্তর প্রশ্ন' বাদ দেওয়া হয়েছে। সংক্ষিপ্ত-উত্তর প্রশ্নের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ নম্বর বহুনির্বাচনি অংশের ১৫ নম্বরের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে, আইসিটির বহুনির্বাচনি প্রশ্নের জন্য মোট ২৫ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে।

৩. ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং: এই বিষয়ে এখন থেকে ফিন্যান্স অংশ থেকে ৮টি এবং ব্যাংকিং অংশ থেকে ৭টি প্রশ্নসহ মোট ১৫টি সংক্ষিপ্ত-উত্তর প্রশ্ন থাকবে। শিক্ষার্থীদের যেকোনো একটি বিভাগ থেকে ন্যূনতম ৪টি সহ মোট ১০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি আরও জানিয়েছে যে, দশম শ্রেণির নির্বাচনি পরীক্ষায়ও বাংলা ২য় পত্র, আইসিটি এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ে সংশোধিত প্রশ্ন কাঠামো ও নম্বর বিভাজন অনুযায়ী প্রশ্ন করতে হবে। এটি একটি অতীব জরুরি নির্দেশনা।

মন্তব্য করুন

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের বাসে ছাত্রশিবিরের স্টিকার বিতর্ক, ক্ষোভ শিক্ষার্থীদের মধ্যে

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরিবহণের জন্য বরাদ্দকৃত বাসে নিজেদের নাম-সম্বলিত স্টিকার লাগিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে
বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরিবহণের জন্য বরাদ্দকৃত বাসে নিজেদের নাম-সম্বলিত স্টিকার লাগিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উদ্যোগে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরিবহণের জন্য বরাদ্দকৃত বাসে নিজেদের নাম-সম্বলিত স্টিকার লাগিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরিবহণ সুবিধার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশাসনের কাছে আবেদন জমা দিয়েছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাস বরাদ্দের পর পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রণয়ন, সিট পরিকল্পনা তৈরি এবং সামগ্রিক সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির অন্যান্য সংগঠনের সদস্যদের পাশাপাশি সহযোগিতা করে।

তবে, শুক্রবার ভোরে পরীক্ষার্থীদের বহনকারী বাসগুলো ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার সময় বাসের গায়ে ছাত্রশিবিরের নামযুক্ত স্টিকার লাগানো দেখা যায়। এই বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন প্রধান এই ঘটনাকে 'দুঃখজনক এবং অনভিপ্রেত' আখ্যা দিয়ে বলেন, "সবাই জানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগেই এই পরিবহণ ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি বাসে নির্দিষ্ট সংগঠনের স্টিকার লাগানোয় শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ সবাই বিব্রত হয়েছেন।"

অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি সাদ কবির জানান, "আমরা প্রশাসনের উদ্যোগে পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতা করেছি, সেটি জানাতেই স্টিকার লাগানো হয়েছিল। তবে বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায় আমরা দ্রুত স্টিকার অপসারণের নির্দেশ দিয়েছি।"

এ বিষয়ে পরিবহণ প্রশাসক অধ্যাপক ড. আহমেদ শাকিল হাসমী বলেন, "প্রতি বছরের মতো এবারও বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেই পরিবহণ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছাত্রশিবির পরীক্ষার্থীদের তালিকা তৈরিতে সহায়তা করেছে এবং ছাত্রদল প্রশাসনের কাছে আবেদন জমা দেয়। তবে বাসে সংগঠনের স্টিকার লাগানো একেবারেই অনুচিত। বিষয়টি নজরে আসার পর তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।"

 

উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টায় নজরুল ভাস্কর্যের সামনে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আগারগাঁওগামী ছয়টি বাস (প্রতিটি রুটে তিনটি করে) পরীক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে।

মন্তব্য করুন

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের ফল ১৬ অক্টোবর প্রকাশ হতে পারে

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আগামী ১৬ অক্টোবর প্রকাশ করা হতে পারে। এই তারিখ চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠাবে। মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাবে সায় দিলে ১৬ অক্টোবরই ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

একটি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, "এইচএসসি পরীক্ষার ফল ১৬ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার প্রকাশের বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই তারিখ রেখে মন্ত্রণালয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাঠানো হবে। অনুমোদন পাওয়া গেলে ১৬ অক্টোবরই ফল প্রকাশ করা হবে।"

এর আগে, বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে ঢাকা বোর্ডের একজন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানিয়েছিলেন, নিয়ম অনুযায়ী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু ১৭ ও ১৮ অক্টোবর সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্র ও শনিবার) থাকায় ১৬ অক্টোবরের মধ্যেই এইচএসসি ফল প্রকাশ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেছিলেন যে ফল তৈরির কাজ প্রায় শেষ। ৯ অক্টোবরের বৈঠকে সব বোর্ড চেয়ারম্যানের মতামত নিয়ে ১২ থেকে ১৬ অক্টোবরের মধ্যেই ফল প্রকাশের তারিখ ঠিক করা হবে। বোর্ড থেকে তিনটি তারিখ প্রস্তাব করা হবে, যার মধ্যে একটিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। বড় কোনো সমস্যা না হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেটিই চূড়ান্ত করবে।

উল্লেখ্য, এ বছর ২৬ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিতের কারণে তা শেষ হয় ১৯ আগস্ট। নিয়ম অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষা শেষের দিন থেকে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে হয়।

এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন। সারাদেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য করুন

শিক্ষার্থীদের সুস্থতা বৃদ্ধিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি ও পিটি বাধ্যতামূলক: মাউশি

শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্থতা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বিকাশের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) এবং পিটি (শারীরিক প্রশিক্ষণ) আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। একই সঙ্গে বছরজুড়ে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সময়োপযোগী ক্রীড়া কার্যক্রম আয়োজন করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো. খালিদ হোসেনের সই করা এক অফিস আদেশে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

অফিস আদেশে মাউশি জানিয়েছে, অধিদপ্তরের আওতাধীন সকল সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার আগে অবশ্যই নিয়মিত অ্যাসেম্বলি ও পিটি আয়োজন করতে হবে।

এছাড়াও, যেসব প্রতিষ্ঠানে ক্যান্টিন বা অন্য কোনো মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের খাবার সরবরাহ করা হয়, সেই খাবার অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত হতে হবে। প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের এই বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে।

এই নির্দেশনাটি দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (টিটিসি) এবং সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরগুলোকেও এই বিষয়ে অবগত করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের: মাউশি

সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের নির্দেশিকা এবং নতুন সাইবার সুরক্ষা আইন বা অধ্যাদেশ কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

বুধবার (২২ অক্টোবর) অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো. খালিদ হোসেনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে মাউশি জানিয়েছে, তাদের আওতাধীন সব দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার এবং সাইবার স্পেসে আচরণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সরকারি নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এই নীতিমালাগুলো অমান্য করলে তা সরকারি কর্মচারীর 'আচরণবিধি লঙ্ঘনের' শামিল হবে। এর পাশাপাশি এটি অনেক ক্ষেত্রে 'জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি' এবং 'শাস্তিযোগ্য অপরাধ' হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে।

এক্ষেত্রে 'সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)' এবং 'সাইবার সুরক্ষা আইন/অধ্যাদেশ, ২০২৫ (২৫ নং অধ্যাদেশ)'-এর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই বিজ্ঞপ্তিটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সব আঞ্চলিক পরিচালক, সরকারি ও বেসরকারি কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

মেয়াদোত্তীর্ণ অ্যাডহক কমিটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব দেবেন ইউএনও ও ডিসি — শিক্ষা মন্ত্রণালয়

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে সেই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ব উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা তার প্রতিনিধি পালন করবেন—এ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

রবিবার (১৬ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ১৫ নভেম্বর তারিখে স্বাক্ষরিত অফিস আদেশটি প্রকাশ করে।

নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, হাইকোর্টের রিট পিটিশন নং-১৬৭৫৭/২০২৫–এর প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ গত ৮ সেপ্টেম্বর যে পরিপত্র (যেখানে সংশোধিত প্রবিধানমালা-২০২৪ অনুযায়ী নিয়মিত বা অ্যাডহক কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছিল) জারি করেছিল, তা তিন মাসের জন্য স্থগিত রয়েছে।

এ কারণে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে যেসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, সেখানে প্রবিধানমালা-২০২৪-এর অনুচ্ছেদ ৬৯ অনুযায়ী ইউএনও (উপজেলা পর্যায়) এবং ডিসি বা তার প্রতিনিধি (জেলা পর্যায়) সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।

অফিস আদেশে দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা বাস্তবায়নের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ঘোষণা করেছিল যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে বিলুপ্ত হবে। পরে বিষয়টি আদালতে গড়ালে সংশ্লিষ্ট পরিপত্র তিন মাসের জন্য স্থগিত হয়।

মন্তব্য করুন

নিজ জেলায় নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক বদলির আওতায় থাকবেন না: স্বয়ংক্রিয় বদলির উদ্যোগ হাতে নেওয়া হচ্ছে

শিক্ষামন্ত্রণালয়
শিক্ষামন্ত্রণালয়

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত সেই সকল শিক্ষক যারা নিজ জেলায় নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের বদলির আওতায় না আনার প্রস্তাব এসেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধিকাংশ কর্মকর্তা এ প্রস্তাবের পক্ষে ইতিবাচক মত দিয়েছেন। ফলে নিজ জেলায় নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বদলির সুযোগ পাবেন না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার মাউশিতে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় এই প্রস্তাবটি আলোচিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) মো. মিজানুর রহমান, মাউমির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক প্রফেসর বি. এম. আব্দুল হান্নান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইয়েদ এ. জেড. মোরশেদ আলী, মাউশির উপ-পরিচালক মো. ইউনুছ ফারুকী, সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম মোসলেম উদ্দিন, এবং টেলিটক ও ইএমআইএস সেলের কর্মকর্তারা।

কর্মশালার আলোচনায় বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) থেকে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। তবে নিজ জেলায় নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বদলির সুযোগ পেলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। কর্মশালায় উপস্থিত কর্মকর্তারা বলেন, যারা নিজ জেলা থেকে বহু কিলোমিটার দূরে চাকরি করছেন, তাদের বদলি বেশি জরুরি। এছাড়া, এমপি বা মন্ত্রীর সুপারিশের কারণে অনিয়মের সম্ভাবনা থাকায় নিজ জেলায় নিয়োগপ্রাপ্তদের বদলির সুযোগ না দেওয়ার জন্য সবাই একমত হয়েছেন। শিগগিরই চূড়ান্ত বদলি নীতিমালা প্রকাশ করা হবে।

এক কর্মকর্তা বলেন, “কর্মশালায় টেলিটকের মাধ্যমে বদলি সফটওয়্যার তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সফটওয়্যার তৈরিতে কী ধরনের সহযোগিতা দরকার তা লিখিতভাবে জানানো হবে এবং সফটওয়্যারটি কীভাবে কাজ করবে, সেটিও নির্ধারণ করা হবে।”

জানা গেছে, এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা দীর্ঘদিন একই প্রতিষ্ঠানে থাকায় শিক্ষাপেশার উন্নয়নে বাধা তৈরি হয়। তাই সরকার স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বদলির সুযোগ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। তবে সফটওয়্যারের জটিলতার কারণে আগে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আবারও আদালতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা বদলির দাবিতে রিট করলে কার্যক্রম স্থবির হয়েছিল।

কর্মশালার পর জানা গেছে, এবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিক্ষকদের বদলির সুযোগ বাস্তবায়িত হবে এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বদলি শিগগিরই শুরু হবে।

মন্তব্য করুন
×