বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, এ ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), বিটিভি নিউজ এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ডে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

সরকারি সূত্র জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা তাঁর এ ভাষণে চলমান রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিস্থিতি এবং জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি সংস্কার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি, জাতীয় ঐক্য গঠন এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেবেন।

জাতীয় পর্যায়ে এটি প্রধান উপদেষ্টার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন দিকনির্দেশনা দিতে পারে বলে অনেকের ধারণা।

মন্তব্য করুন

তৃতীয় দিনের মতো শহীদ মিনারে অবস্থান প্রাথমিক শিক্ষকদের

দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আসা শিক্ষকরা শহীদ মিনার চত্বরে জড়ো হন। কেউ গাছের ছায়ায় বসে আছেন, কেউ আবার মাইকে বক্তব্য দিচ্ছেন। মাঝে মাঝে দেশাত্মবোধক গান ও কবিতাও শোনা যাচ্ছে তাঁদের অবস্থানস্থলে।

 

শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, সরকার এখনো তাঁদের দাবির বিষয়ে কোনো আশ্বাস দেয়নি। তাই তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁদের দাবি পূরণ না হলে কর্মসূচি আরও কঠোর করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

 

এই আন্দোলনের কারণে সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। সামনে পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা ও বার্ষিক পরীক্ষা থাকায় অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

 

অন্যদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। শিক্ষকরা আশা করছেন, দ্রুত সমাধান না এলে তাঁরা ঢাকায় আরও বড় পরিসরে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

মন্তব্য করুন

গণতন্ত্রের প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের সব রাজনৈতিক দলকে গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। রবিবার (১৬ নভেম্বর) প্রেস ক্লাবে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি বলেন, দেশে রাজনীতি বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে এবং বর্তমান সময়টা জটিল সংকটে পড়েছে।

ফখরুল বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলেও কিছু গোষ্ঠি রাজনীতিতে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। তাই সকল রাজনৈতিক দলকে দ্রুত নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সমর্থন দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করতে হবে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো নেই, নির্বাচিত সরকার ছাড়া এটি সমাধান সম্ভব নয়। একই সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আসন্ন গণহত্যার রায়কে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আতঙ্ক বিরাজ করছে, যা নৈরাজ্য তৈরির চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মওলানা ভাসানী স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন ও কল্যাণকর রাষ্ট্রের চিন্তা করেছিলেন, যা তিনি পূর্ণ করতে পারেননি। বিএনপির প্রতি তার দায়বদ্ধতা রয়েছে, কারণ তিনি দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২ দিনের ছুটি: ৭ অক্টোবর পর্যন্ত, ৮ অক্টোবর থেকে কার্যক্রম শুরু

সম্প্রতি দুর্গাপূজা, বিজয়া দশমী, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম, প্রবারণা পূর্ণিমা এবং লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে দেশের নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ১২ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই ছুটি শুরু হয়েছিল ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে, যা চলবে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত।

তবে, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে ৮ ও ৯ অক্টোবর কোনো পরীক্ষা না নেয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ মনে করেছেন, ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা আসলে সঠিক নয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) উপ-পরিচালক মো. ইউনুছ ফারুকী এই বিষয়ে পরিষ্কার করেছেন যে, ছুটি শুধুমাত্র ৭ অক্টোবর পর্যন্ত। ৮ অক্টোবর থেকে শ্রেণি কার্যক্রম পুনরায় চালু হবে। ৮ ও ৯ অক্টোবর শুধুমাত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না, তবে স্কুল খুলে যাবে।

এটি একটি ভুল বোঝাবুঝির বিষয়, এবং মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় কোনো ছুটি বাড়ানোর কথা বলা হয়নি। যারা ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে, তারা ভুল করেছে। সঠিক তথ্য পেতে চাইলে মাউশিতে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

 
মন্তব্য করুন

অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আর নেই

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক, স্বনামধন্য কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম  এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন, যিনি হাসপাতালে অধ্যাপক মনজুরুল ইসলামের চিকিৎসার বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছিলেন।

অসুস্থতা ও চিকিৎসা

অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি ধানমন্ডিতে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে যাওয়ার পথে গাড়িতে থাকা অবস্থায় অসুস্থতা অনুভব করেন। গাড়িচালকের সহায়তায় তাঁকে দ্রুত পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে খবর পেয়ে মাজহারুল ইসলামসহ ঘনিষ্ঠজনরা যান।

চিকিৎসকেরা জানান যে তাঁর ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক’ হয়েছিল। এরপর তাঁকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানেই তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রে স্টেন্টিং করা (রিং পরানো) হয়।

 

শারীরিক অবস্থার অবনতি ও লাইফ সাপোর্ট

শনিবার থেকে অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। অক্সিজেন লেভেল কমে যাওয়া এবং ফুসফুসে পানি জমার কারণে পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে রোববার সন্ধ্যায় তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তাঁর অবস্থার সামান্য উন্নতি হলেও পরে আবার অবনতি হয়। অবশেষে, আজ বিকেল ৫টায় চিকিৎসকেরা লাইফ সাপোর্ট সরিয়ে নিলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

 

পরিবার, বন্ধু ও স্বজনদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহ আজ বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আগামীকাল শনিবার সকাল ১১টায় তাঁর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। এরপর বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তাঁকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হতে পারে।

মন্তব্য করুন

বৃহৎ সঞ্চয়ের সন্ধানে: দুর্বল পাঁচ ব্যাংক একীভূত হয়ে 'ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক', ২০ হাজার কোটি টাকার সরকারি ভরসা!

ইতিহাস গড়ার পথে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত। আর্থিক সংকটে জর্জরিত পাঁচটি বেসরকারি শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূতকরণের এক ঐতিহাসিক প্রস্তাবনা নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই বিশাল সমন্বয়ের ফলে দেশের অর্থনীতিতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে চলেছে, যার প্রাথমিক লক্ষ্য ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করা।

৯ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ব্রিফিংয়ে নিশ্চিত করেন, দুর্বল ও সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি মোকাবেলা করতেই বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

যে পাঁচ ব্যাংক মিশে যাচ্ছে এক স্রোতে

একীভূত হয়ে যে নতুন ব্যাংকটি গঠিত হবে, তার জন্য প্রাথমিকভাবে 'ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক' অথবা 'সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক' নামে দুটি প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে। যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তাদের পৃথক অস্তিত্ব বিলীন করে একটি বৃহত্তর শক্তিতে পরিণত হচ্ছে, তারা হলো—

১. ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ২. গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ৩. ইউনিয়ন ব্যাংক ৪. এক্সিম ব্যাংক ৫. সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক

 

আমানত ও চাকরির নিরাপত্তা: সরকারের পূর্ণ আশ্বাস

এই একীভূতকরণের ফলে আমানতকারীদের মনে যে সংশয় সৃষ্টি হয়েছিল, তার নিরসন করেছে সরকারের ঘোষণা। প্রেস সচিব দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন, "একীভূত হওয়ার পর কেউ চাকরি হারাবেন না। আগের আমানত সবাই ফেরত পাবেন।"

তবে আমানত ফেরতের প্রক্রিয়া হবে সুসংগঠিত। জানা গেছে, আমানত সুরক্ষা আইনের সংশোধনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে, যেসব গ্রাহকের আমানতের পরিমাণ ২ লক্ষ টাকা বা তার কম, তারা এককালীন পুরো অর্থ উত্তোলনের সুযোগ পাবেন। বাকি আমানতকারীদের অর্থ ধাপে ধাপে পরিশোধ করা হবে। আমানত সুরক্ষা আইনকে যুগোপযোগী করে তোলার সংশোধনীও উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন করেছে।

 

প্রাথমিক মূলধন ও মালিকানা কৌশল

নতুন এই ব্যাংকের মেরুদণ্ড শক্তিশালী করতে সরকার এক বিশাল মূলধনের আশ্বাস দিয়েছে। ব্যাংকটির মূলধন হিসেবে সরকার ২০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা দেবে। এই অতিরিক্ত পুঁজির জোগান আসবে বাজেট, বৈদেশিক ঋণ এবং প্রয়োজনে ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স ফান্ড থেকে।

মালিকানার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন থাকবে, যার তত্ত্বাবধানে থাকবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। এই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে ব্যাংকটিকে সম্পূর্ণ স্থিতিশীল করে তোলার পর, উপযুক্ত সময়ে তা বেসরকারি মালিকানায় হস্তান্তর করা হবে। সরকার আশা করছে, এই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পাঁচ বছরের মতো সময় লাগতে পারে। উল্লেখ্য, এই একীভূতকরণের কার্যক্রম বাস্তবায়নে গত ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরকে আহ্বায়ক করে একটি আট সদস্যের ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

জাতীয় নির্বাচন: সকল সংশয় দূর, ফেব্রুয়ারিতেই ত্রয়োদশ নির্বাচন - প্রেস সচিব

প্রেস সচিব শফিকুল আলম নিশ্চিত করেছেন যে নির্বাচন নিয়ে আর কোনো সংশয় নেই এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই ঘোষণা দেন।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, "নির্বাচন নিয়ে যত সংশয় ছিল, সব ধুয়েমুছে গেছে। এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই।" তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন যে দীর্ঘ ১৬ বছর 'ফেক ইলেকশন' দেখার পর এবার জনগণ 'রিয়েল ইলেকশন' দেখবে। তাঁর মতে, "এবার ইতিহাসের অন্যতম একটা সেরা নির্বাচন হবে।"

নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনি আমেজ শুরু হয়ে গেছে। তিনি উদাহরণ হিসেবে হালুয়াঘাটে নেতাদের পোস্টার দেখতে পাওয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে দলগুলো যখন আগামী দুই-তিন সপ্তাহ পর থেকে প্রার্থী ঘোষণা শুরু করবে, তখন নির্বাচনি পরিবেশ আরও বেশি জমজমাট হয়ে উঠবে।

মন্তব্য করুন
×