২০২৬ শিক্ষাবর্ষের ১২ কোটিরও বেশি নতুন পাঠ্যপুস্তক ছাপানো হবে
২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য মাধ্যমিক (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি), দাখিল এবং কারিগরি শাখার ১২ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭১টি নতুন পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই বিশাল সংখ্যক বইয়ের জন্য মোট ৪৪৪ কোটি ৮০ লাখ ৮৭ হাজার ৬৬১ টাকা ব্যয় হবে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
তিন ধাপে অনুমোদিত বই ও ব্যয়:
১. ষষ্ঠ শ্রেণির বই:
-
মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল ও কারিগরির ষষ্ঠ শ্রেণির মোট ৪ কোটি ৩৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮১ কপি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।
-
এতে মোট ব্যয় হবে ১৩৭ কোটি ৮৭ লাখ ১৯ হাজার ৯৫০ টাকা।
-
প্রতিটি পাঠ্যপুস্তকের জন্য গড় ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ টাকা ৫৮ পয়সা।
২. অষ্টম শ্রেণির বই:
-
মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল ও কারিগরির অষ্টম শ্রেণির মোট ৪ কোটি ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯৮ কপি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।
-
এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ১২ হাজার ৯৭ টাকা।
-
প্রতিটি পাঠ্যপুস্তকের জন্য গড় ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ টাকা।
৩. সপ্তম শ্রেণির বই:
-
মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল ও কারিগরির সপ্তম শ্রেণির মোট ৪ কোটি ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৯২ কপি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে।
-
এই বইগুলোর জন্য ব্যয় হবে ১৫০ কোটি ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬১৪ টাকা।
-
প্রতিটি পাঠ্যপুস্তকের জন্য গড় ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬ টাকা ৭ পয়সা।
ক্রয় প্রক্রিয়া:
জানা গেছে, তিনটি শ্রেণির জন্যই আলাদাভাবে উন্মুক্ত পুনঃদরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে কারিগরি কমিটি (টিইসি)-এর সুপারিশ অনুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে বইগুলো ক্রয় করার প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়।