২১ নভেম্বর থেকে স্কুলে ভর্তির আবেদন, লটারি ১৪ ডিসেম্বর
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে আগামী ২১ নভেম্বর। এবারও শিক্ষার্থী ভর্তি হবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) জানিয়েছে, আগামী ১৯ নভেম্বরের মধ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এরপর ২১ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে।
লটারি অনুষ্ঠিত হবে ১৪ ডিসেম্বর, এবং নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।
এর আগে, ১২ থেকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা অনলাইন সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করবেন এবং শূন্য আসনের তথ্য আপলোড করবেন। পুরো প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড।
আসন ও আবেদনসংখ্যা
গত বছর সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৫ হাজার ৬২৫টি বিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এর মধ্যে—
-
বেসরকারি স্কুল ছিল ৪ হাজার ৯৪৫টি, শূন্য আসন ছিল প্রায় ১০ লাখের বেশি।
-
সরকারি স্কুল ছিল ৬৮০টি, শূন্য আসন প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার।
তবে চাহিদা ছিল অনেক বেশি। সরকারি স্কুলে আবেদন পড়েছিল ৬ লাখ ২৫ হাজার ৯০৪টি, অর্থাৎ শূন্য আসনের প্রায় ছয়গুণ। বেসরকারি স্কুলে আবেদন পড়ে প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার। ফলে প্রতি বছরই সরকারি ও নামকরা বিদ্যালয়ে ভর্তির প্রতিযোগিতা হয়ে ওঠে তীব্র।
ভর্তি ফি ও নীতিমালা
ভর্তির আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা।
ভর্তি ফি ও অন্যান্য চার্জের সর্বোচ্চ সীমা আগের মতোই থাকছে—
-
মফস্বল এলাকায়: সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা
-
উপজেলা বা পৌর এলাকায়: সর্বোচ্চ ১,০০০ টাকা
-
মহানগর এলাকায় (ঢাকা ছাড়া): সর্বোচ্চ ৩,০০০ টাকা
-
ঢাকার এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান: সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা
-
আংশিক এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান: সর্বোচ্চ ৮,০০০ টাকা
-
ইংরেজি ভার্সনের স্কুলে ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা হতে পারবে।
প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়ন ফি হিসেবে ৩,০০০ টাকার বেশি নিতে পারবে না। প্রতি বছর সেশন চার্জ নেওয়া যাবে, তবে পুনঃভর্তির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবে না।
বয়সসীমা
আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হতে হলে শিক্ষার্থীর বয়স হতে হবে ৫ থেকে ৭ বছর।
অর্থাৎ, যার জন্ম ১ জানুয়ারি ২০১৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০-এর মধ্যে, কেবল তারাই প্রথম শ্রেণিতে আবেদন করতে পারবে।
এই বছরও স্কুল ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ডিজিটাল ও স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হবে। লটারির ফলাফলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সুযোগ পাবে পছন্দের বিদ্যালয়ে ভর্তির। সরকারি স্কুলে আসনসংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়ায় প্রতিযোগিতা হবে আগের বছরের মতোই কঠিন।