প্রশ্ন ফাঁস ও জালিয়াতি: অনৈতিক প্রবণতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৪০, ৮ আগস্ট ২০১৯

ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৬৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে। এই শিক্ষার্থীরা ২০১২-১৩ থেকে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছিল। গত মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের বৈঠকে বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের সবাইকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। বহিষ্কারের তালিকায় আরো তিনজন শিক্ষার্থী ছিল। কিন্তু নাম-ঠিকানায় অমিল পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আপাতত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঠিকানা ও পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাময়িক বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তদন্ত ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেওয়ার জন্য তাদের নোটিশ দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের স্থায়ী ঠিকানা, আবাসিক হল কার্যালয় ও বিভাগে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিষয়টি চিঠি দিয়ে জানানো হবে। কেউ নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারলে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ও জালিয়াতির ঘটনা তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ জন শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনে আলাদা দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় গত ২৬ জুন ৭৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম।
জালিয়াতির অভিযোগে গত বছরের জানুয়ারিতে ১৫ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ পর্যন্ত মোট ৮৪ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভর্তি নিয়ে কিছু অনিয়ম যে আগে হয়নি তা নয়। তবে গ্রাহ্য করার মতো ঘটনা তেমন ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ে অনিয়ম-জালিয়াতি করে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়েছে। বেশকিছু ঘটনার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। গত ছয় বছরে শতাধিক শিক্ষার্থী জালিয়াতচক্রের ফাঁদে পা দিয়ে অসদুপায়ে ভর্তি হয়েছে, প্রচুর টাকা খরচ করে। মেধা কাজে না লাগিয়ে তারা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। কী লাভ হলো তাতে? টাকা গেল, শিক্ষাজীবনও শেষ; নষ্ট হলো পরিবারের সামাজিক সম্মান।
শিক্ষার্থীরা কেন জালিয়াতচক্রের কাছে যাবে? এটা নৈতিক অবক্ষয়। শিক্ষার্থীসমাজ থেকে অবক্ষয়ের ধারাকে দূর করতে হবে। প্রশ্ন ফাঁসকারীদের কঠোর শাস্তি হতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সবার কাছে সতর্কবার্তা পৌঁছবে বলে আমরা আশা করি। অভিভাবকদেরও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা নিজের মেধায় আস্থা রাখুক—জালিয়াতচক্রের ওপর নয়।
এডুকেশন বাংলা/এজেড
- এমপিও নীতিমালা নিবন্ধন সনদধারী ১-১২ তমের উপর কার্যকর হবে না
- সরকারি কর্মচারীদের সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত প্রাথমিক শিক্ষকরা
- অতি দ্রুত নিয়োগ পাবে রিটকারী সকলে
- নীতিমালা সংশোধন ও ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ
- প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের চাকরি কঠিনতর হচ্ছে
- এনটিআরসিএ যাদেরকে সুপারিশ করবে তারাই নিয়োগ পাবে
- এমপিওভুক্তি হলে আসলে শিক্ষকরা কি কি সুবিধা পাবেন?
- বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাঃ জাতীয়করণের হাতছানি
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিফিন ও ভাতা
- ৪ হাজার টাকায় একটি বেসরকারি শিক্ষক পরিবারের ঈদ উৎসব!
- নতুন নীতিমালা প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষ নিয়োগে শূন্যতা সৃষ্টি করবে
- এমপিওভুক্তিকে খারাপ কার্যক্রম বললেন অর্থমন্ত্রী
- এমপিওভুক্তি নিয়ে দুটি কথা
- প্রসঙ্গ:বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের মেধাতালিকা
- বেসরকারি শিক্ষকদের মূল বেতন ছাড়া আর কিছুই বাড়েনি