নীতিমালা সংশোধন ও ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ
মো. মোকারম হোসেন
প্রকাশিত: ১৫:৩১, ১৭ নভেম্বর ২০১৯ আপডেট: ১৬:০৬, ১৭ নভেম্বর ২০১৯

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নীতিমালা সংশোধনের কাজ সম্পন্ন হবে বলে দৃশ্যমান। এখন প্রশ্ন হলো, মৃত্যুফাঁদ নামক ভুলেভরা প্রহসনের নীতিমালা কি আদৌ প্রতিষ্ঠান বান্ধব হবে? শিক্ষক বান্ধব হবে? অতীতে যে শ্রেণীর বুদ্ধিজীবীদের দিয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করেছিল এখনও ঐ শ্রেণীর বুদ্ধিজীবীরাই কাজটির দায়িত্বে আছেন।
শুধু নতুনভাবে সংযোজন হয়েছেন নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি ও সম্পাদক। তারা কি পেরে উঠবেন বর্ণচোরাদের সাথে? পারলে আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু যদি না পেরে উঠেন তখন কী হবে? বিষয়টি কি কেউ ভেবে দেখেছেন? আমি অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা নিজেদের ত্রুটি কখনোই মেনে নেবেন না। বরং সংগঠন এর উপর দায় চাপিয়ে নন এমপিও শিক্ষক কর্মচারীদের সমস্যা আরও সংকটময় করে তুলবেন।
আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি, অতি উতসাহিত না হয়ে, মিটিং সেমিনার এর পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত শিক্ষক কর্মচারিদের অতীতের যে কোনো সময়ের থেকে সোচ্চার, সংগঠিত থাকা দরকার এবং প্রত্যেককে নিজ অবস্থান থেকে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে একে অপরের সঙ্গে সংযোগ স্হাপন করে মাঠ প্রস্তুত রাখা দরকার।
নীতিমালা সংশোধনী কমিটির দুই একটা মিটিংয়ের বাস্তবতা খুঁজে পাওয়া যাবে। যদি নন এমপিও প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের স্বার্থের পরিপন্থী হয় তাহলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যখন মিটিং এর পাশাপাশি জোড়ালো আন্দোলন এর প্রয়োজন হবে, তখন যেন কেন্দ্রীয় কমিটির ২৪ ঘন্টার ঘোষিত কর্মসূচিতে যে কোনো সময়ের তুলনায় রাজপথে সর্বোচ্চ শিক্ষক কর্মচারীদের সমাগম ঘটে।
সহযোদ্ধা বন্ধুগণ, এটা আমার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে তুলে ধরলাম। আপনার চিন্তা বা মতের সাথে নাও মিলতে পারে। শুধু এইটুকু অনুরোধ করব, কোনো আবেগজনিত সিদ্ধান্ত না নিয়ে বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নিবেন। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে চরম সংকটময় পরিস্থিতি পার করে নন এমপিও প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক কর্মচারীরা নিবু নিবু করে জ্বলছে। এই গঠিত নীতিমালা কমিটির মাধ্যমেই এর যবনিকা ঘটবে। সৃষ্ট পরিস্থিতি কৌশলে মোকাবিলা করতে পারলে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ জ্বল জ্বল করে জ্বলে উঠবে নয়তো অপমৃত্যু ঘটবে। [ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন]
লেখক: মো. মোকারম হোসেন,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন, কেন্দ্রীয় কমিটি।
এডুকেশন/কেআর
- এমপিও নীতিমালা নিবন্ধন সনদধারী ১-১২ তমের উপর কার্যকর হবে না
- সরকারি কর্মচারীদের সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত প্রাথমিক শিক্ষকরা
- অতি দ্রুত নিয়োগ পাবে রিটকারী সকলে
- নীতিমালা সংশোধন ও ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ
- প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের চাকরি কঠিনতর হচ্ছে
- এনটিআরসিএ যাদেরকে সুপারিশ করবে তারাই নিয়োগ পাবে
- এমপিওভুক্তি হলে আসলে শিক্ষকরা কি কি সুবিধা পাবেন?
- বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাঃ জাতীয়করণের হাতছানি
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিফিন ও ভাতা
- ৪ হাজার টাকায় একটি বেসরকারি শিক্ষক পরিবারের ঈদ উৎসব!
- নতুন নীতিমালা প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষ নিয়োগে শূন্যতা সৃষ্টি করবে
- এমপিওভুক্তিকে খারাপ কার্যক্রম বললেন অর্থমন্ত্রী
- এমপিওভুক্তি নিয়ে দুটি কথা
- প্রসঙ্গ:বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের মেধাতালিকা
- বেসরকারি শিক্ষকদের মূল বেতন ছাড়া আর কিছুই বাড়েনি